আলঝেইমারের ঝুঁকি কমাতে যা খাবেন

আলঝেইমার রোগ মস্তিষ্কের একধরনের অস্বাভাবিকতা, যাতে সাধারণত স্মৃতিভ্রংশ হয়, রোগীর কগনিটিভ কার্যকারিতা বা পরিপার্শ্ব সম্পর্কে চেতনার ক্ষয় হতে থাকে। ৬৫ বছরের পরে এ রোগ হওয়ার প্রবণতা বেশি। এই রোগের তেমন কোনো প্রতিকার নেই। রোগের অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে রোগীর শারীরিক অবস্থারও অবনতি হতে থাকে, খাওয়াসহ অন্যান্য দৈনন্দিন কাজ নিজে করতে না পারার কারণে রোগী একেবারেই পরনির্ভরশীল হয়ে পড়েন।

আলঝেইমার ও ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি কমানোর জন্য আমাদের খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে। এ জন্য ‘মাইন্ড ডায়েট’ খুবই উপকারী। মাইন্ড ডায়েট অনুসরণ করতে দৈনন্দিন খাবারের তালিকায় নিচের খাবারগুলো অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন:

পূর্ণ শস্যযুক্ত খাবার

দিনে খাবারের তালিকায় পূর্ণ শস্যযুক্ত খাবার রাখুন। লাল আটা, লাল চাল, ভুট্টা, গম, ওটস, হোল গ্রেইন পাস্তা, পপকর্ন—এগুলো পূর্ণ শস্যযুক্ত খাবার।

সামুদ্রিক মাছ

ওমেগা-৩ যুক্ত মাছ যেমন স্যামন, টুনা, ম্যাকরেল ইত্যাদি মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। সপ্তাহে অন্তত দুই দিন সামুদ্রিক মাছ খাওয়ার চেষ্টা করুন।

শিম ও শিমের বিচি

স্মৃতিভ্রংশ বা ডিমেনশিয়া প্রতিরোধে এটা খুবই উপকারী। এতে প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন ও খনিজ রয়েছে।

শাকসবজি

সবুজ শাক, বিশেষ করে পালংশাক, ব্রকলি, বাঁধাকপি, শালগম এবং আরও যে সবুজ রঙের শাকসবজি রয়েছে, সেগুলো খেতে হবে। এতে লুটেইন, ফলেট, ভিটামিন ই, বিটা ক্যারোটিন এবং পলিফেনলস রয়েছে।

সালাদ: দিনে একবার সালাদ খেলে তা ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

বাদাম: স্মৃতিশক্তি বাড়াতে বাদামের জুড়ি নেই। সপ্তাহে অন্তত পাঁচ দিন অল্প বাদাম খান।

অলিভ অয়েল: রান্নার কাজে এবং সালাদ তৈরিতেও ড্রেসিং হিসেবে অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন।

মাইন্ড ডায়েটের ক্ষেত্রে কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে:

রেড মিট, মিষ্টিজাতীয় খাবার যতটা সম্ভব কম খেতে হবে।

ফাস্টফুড, তৈলাক্ত খাবার সপ্তাহে একবারের বেশি খাওয়া ঠিক নয়।

লেখক: পুষ্টি বিশেষজ্ঞ মেডিনোভা মেডিকেল, মালিবাগ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seo