গৃহকর্মীদের ‘বুয়া’ না ডাকার আহ্বান

সরকার ইতোমধ্যে গৃহশ্রমিক সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতিমালা- ২০১৫ ঘোষণা করেছে অবশ্য বিষয়টিকে শ্রম আইন-২০০৬-এর আওতায় এনে গৃহশ্রমিকদের ওপর নির্যাতন প্রতিরোধ ও তাদের মানবিক মর্যাদা নিশ্চিত করা জরুরি।

শনিবার (30-6-18) জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ (বিলস) ও অক্সফাম বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত ‘গৃহশ্রমিক সম্মেলন-২০১৮’। ছবি: সংগৃহীত
(ইউএনবি) গৃহশ্রমিকদের মর্যাদা দিতে তাদের ‘বুয়া’ নামে সম্বোধন না করার আহ্বান জানিয়েছেন ‘গৃহশ্রমিক সম্মেলন-২০১৮’-এর বক্তারা।
৩০ জুন, শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের (বিলস) উদ্যোগে ও অক্সফাম বাংলাদেশের সহযোগিতায় এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সম্মেলনে একাধিক বক্তা বলেন, গৃহশ্রমিকের অধিকার মানবাধিকার, কিন্তু বর্তমান সময়ে সর্বত্রই এই অধিকার লঙ্ঘিত হয়ে চলেছে। গৃহশ্রমিকদের ওপর নির্যাতনের মাত্রা ক্রমেই বেড়েই চলেছে, সংঘটিত হচ্ছে নৃশংস সব হত্যাকাণ্ড।
সরকার ইতোমধ্যে গৃহশ্রমিক সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতিমালা- ২০১৫ ঘোষণা করেছে। অবশ্য বিষয়টিকে শ্রম আইন-২০০৬-এর আওতায় এনে গৃহশ্রমিকদের ওপর নির্যাতন প্রতিরোধ ও তাদের মানবিক মর্যাদা নিশ্চিত করা জরুরি।
এ ছাড়া ‘গৃহশ্রমিকদের জন্য শোভন কাজ’ শীর্ষক আইএলও কনভেনশন-১৮৯ অনুসমর্থনের জন্য তারা সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
সম্মেলনে ‘গৃহশ্রমিক সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি-২০১৫’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে গৃহশ্রমিকদের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা, নির্যাতন ও সহিংসতা বন্ধ এবং ন্যায্য মজুরি, ক্ষতিপূরণ ও শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট মানবাধিকার নেত্রী ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল।
Courtesy : শেখ নোমান, প্রিয় সংবাদ/শান্ত (Ref Link)